-“পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল” পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের e টেন্ডারের মাধ্যমে রাজ্য সরকারি হাসপাতাল গুলিতে বিভিন্ন স্যালাইন সহ ১৫ টি মূলত জীবনদায়ী ওষুধ সরবরাহের বরাত পায়।
ইতিমধ্যে কর্ণাটক সরকারেরও কিছু স্যালাইনের বরাত পায়। এছাড়া ওড়িশা, উত্তর প্রদেশেও কিছু স্যালাইনের বরাত পায়।
কোম্পানিটি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় অবস্থিত। কোম্পানিটির তিনজন ডিরেক্টর বা মালিক। দুজন অবাঙালী এবং একজন বাঙালি।
গত বছর কর্ণাটক এর তিনটি জেলায় প্রায় ৩০০০০ বোতল RL স্যালাইন সরবরাহ করে। সেই তিনটে জেলায় প্রসূতি মায়েদের বা সিজারিয়ান নবজাতক প্রসব করার পর RL স্যালাইন রক্তের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহারের ফলে বহু সদ্যজাত শিশুকে দেখবার আগেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে এবং স্যালাইনের গুণমান নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে।
কর্ণাটক রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড কে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালায়। স্যাম্পল এর গুণমান পরীক্ষার পর কর্ণাটক সরকার “পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল” কে কালো তালিকাভুক্ত করে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের অনেক দেরিতে ঘুম ভাঙ্গে। তারা ডিসেম্বর ২০২৪ এ সব ওষুধ প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেয় । কিন্তু তাদের সরবরাহ করা স্যালাইন ব্যবহারের স্থগিতাদেশ দেয় ৭ ই জানুয়ারী।
১০ ই জানুয়ারী মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে সদ্য সিজার করা রোগীকে / মা দের RL স্যালাইন প্রয়োগ করে। তাতে একজনের মৃত্যু ঘটে ১০ ই জানুয়ারী আরও তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে CCU তে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি ।
এজন্য দায়ী কে :
. পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগ কন্ট্রোল অধিকর্তা
এমত অবস্থায় প্রশ্ন একটাই :
পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল এর তিন মালিক কোথায়?
তাদের কেন এখনও গ্রেপ্তার করা বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় নি।