No Result
View All Result
- ড: সঞ্জয় দাস
MBBS, D Ortho, Mch (Ortho)
Fellowship in joint replacement surgery & Arthoscopy (Germany)বয়স যত বাড়বে হাটুর ক্ষয় ততই বাড়বে। আর এই ক্ষয় অতি সাধারণ বিষয়। বয়েসের সঙ্গে সঙ্গেই হাটুর ক্ষয় খুবই স্বাভিবিক। এখন প্রশ্ন সকলেরই কী হাটুর ক্ষয় হতে পারে নাকি সকলের এটা হয়না। তবে কাদের বেশি হাটুর ক্ষয় হতে পারে? উত্তরটা মোটামুটি সোজা, যাদের চেহারা ভারি, তাঁদেরই হাটুর ক্ষয়ের সম্ভাবনা বেশি। আবার যদি কেউ ছোটবেলায় খেলতে গিয়ে বা পড়ে গিয়ে হাটুতে চোট পান, বিশেষ করে যদি হাড়ে আঘাত লাগে, তাঁদের বয়স হলে তাড়াতাড়ি হাটুর ক্ষয় দ্রুত হয়। তবে এই হাটুর ক্ষয় সকলেরই হয়, তবে সেটা কারোর ক্ষেত্রে বেশি বা কারোর ক্ষেত্রে একটু কম।
বোঝার উপায়?
প্রথমেই হাটুর ব্যাথা শুরু হবে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রথমে কনকন করবে, একটা আধটা পেইন কিলার বা কোনও ওষুধ খেয়ে নিলে ব্যাথা কমে যাবে। কিন্তু আবার ঘুরে ফিরে আসবে। তবে একটা সময় এমন আসবে, যখন ব্যাথার ওষুধ খেলেও হাটুর যন্ত্রনা কমবে না। অর্থাৎ প্রথম প্রথম সকলেই অবহেলা করে থাকেন, পরে ক্রমে ক্রমে সেটাই বড় আকার নিয়ে নেয়। এরপর ব্যাথা কমানোর ওষুধও যখন কাজ করেনা, তখনই অনেকে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে থাকেন। এই পরিস্থিতি তৈরি হলেই বুঝতে নিতে হবে, হাটুর মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়েছে, আর হাটুর ক্ষয় হয়েছে অনেকটাই। অবশেষে পরীক্ষা করলেই ধরা পড়বে হাটুর ক্ষয় অনেকটাই বেড়েছে।
হাটুর ক্ষয় কখন শুরু হয়?
সাধারণত ছোটবেলায় যদি কারোর হাটু বা পায়ে মারাত্মক চোট না পেয়ে থাকেন, তবে ৪০-৪৫ বছর বয়স থেকে হাটুর ক্ষয় শুরু হয়। ৬০ বছর পার হলে এই সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। অপরদিকে যারা একটু বেশি স্থুলকায় বা মোটা, তাঁদের হাটুর ক্ষয় একটু আগেই শুরু হয়। কারণ তাঁদের শরীরের পুরো ভার হাটুকেই বহন করতে হয়।
হাটুর ব্যাথা ও মেডিসিন…
হাঁটুর ক্ষয় এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা বন্ধ করা যায়না। তবে নিয়মিত ব্যায়াম ও খ্যাদ্যাভাসে শরীরকে ছিপছিপে রাখা যায়। তবে হাটুর সমস্যা কিছুটা ঠেকানো যাবে। কিন্তু ওই যে আগেই বলেছি, হাটুর ক্ষয় আটকানো যায়না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাটুও ক্ষয় হবে। তবে হাটুর যন্ত্রনা বা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘনঘন পেইন কিলার জাতীয় ওষুধ খাওয়া একদম উচিৎ নয়। এতে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া উচিৎ।
চিকিৎসা পদ্ধতি…
ব্যাথার ওষুধ যখন কাজে আসে না তখনই বুঝতে হবে হাটুর ক্ষয় একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাহলে কী আর কোনও উপায় নেই? উত্তর হল আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক উপায় আছে। তবে এই হাটুর ক্ষয় শেষ পর্যায়ে চলে গেলে একমাত্র উপায় হল অস্ত্রোপচার। এর একটাই চিকিৎসা হল Knee Replacement বা কৃত্রিম হাটু প্রতিস্থাপণ। হাটুর অপারেশন এখন অনেক হাসপাতালেই হচ্ছে। তবে এটা কোনও ভালো হাসপাতাল বা নার্সিংহোমেই করানো উচিৎ। Knee Replacement চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটা বড় আশির্বাদ। তাই এটা খুব ভালোভাবে করতে হয়। মাথায় রাখতে হবে অপারেশনের পর কোনও ভাবেই যেন ইনফেকশন না হয়। একবার ইনফেকশন হলে পুরো চেষ্টাটাই মাঠে মারা যাবে। ফলে হাটুতো ঠিক হবেই না, হাঁটাচলার ক্ষমতাও হারাতে পারেন। তাই খরচের কথা ভেবে যেখানে সেখানে হাটুর অপারেশন না করানোই ভালো। বলে রাখা ভালো, হাটুর অপারেশনের পর সেই জায়গায় একবার ইনফেকশন হয়ে গেলে পুরো পা কেটেই বাদ দিতে হতে পারে। তবে এখন অনেক ভালো কয়েকটি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে উন্নত যন্ত্রপাতি সহ আধুনিক পরিকাঠামো চলে এসেছে। সেখানে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা নিয়মিত হাটু প্রতিস্থাপণ করা হচ্ছে। ফলে খরচ একটু বেশি হলেও সেখান থেকেই হাটু অপারেশন বা Knee Replacement করান। কারণ হাটু ছাড়া হাঁটা যায়না
- https://youtu.be/J1OKft6tHrk?si=URmMdDAP510YahDK
No Result
View All Result