কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টায় আছেন বিজ্ঞানীরা। ক্যানসার বধের অস্ত্র তৈরি হচ্ছে সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়াদের দিয়েই। শরীরে জীবাণু ঢুকিয়ে মারণরোগ সারানোর পন্থা আবিষ্কারের দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব জুড়েই গবেষণা চলছে। ‘নেচার’ সায়েন্স জার্নালে এই নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া দেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-এবং ‘আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যানসার রিসার্চ’-এর দু’টি গবেষণাপত্রেও ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যাক্টেরিয়াকে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে।ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যাক্টেরিয়াকে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা আজকের নয়। প্রথম ১৮৬০ সালে আমেরিকার অস্থি চিকিৎসক ও গবেষক উইলিয়াম বি কোল প্রথম ই.কোলাই ব্যাক্টেরিয়াকে কাজে লাগিয়ে হাড়ের ক্যানসার সারানোর দাবি করেন। শরীরে ব্যাক্টেরিয়া ঢুকিয়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে সক্রিয় করে মারণরোগ সারানোর সেই পন্থাই পরবর্তী কালে ‘ইমিউনোথেরাপি’ নামে পরিচিতি লাভ করে। কোলকে ‘ইমিউনোথেরাপির জনক’ বলা হত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রেডিয়োথেরাপি ও কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসা পদ্ধতি চলে আসার পর অতি দ্রুত ক্যানসার কোষগুলির বিনাশ করতে এই দুই পদ্ধতির উপরেই ভরসা করতে শুরু করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ইদানীং ফের মারণরোগ নির্মূল করতে ইমিউনোথেরাপিকেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। কারণ, কেমো বা রেডিয়োথেরাপির মতো এই পদ্ধতির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।