ডাঃ এ,কে, মাইতঃ- সম্পুর্ন নীরোগ মানুষের সংখ্যা নেই বললে চলে। রক্তের নমুনা নিয়ে ল্যাব টেস্ট করলে কোন কোন রোগ ধরা পড়বে।তবে সম্প্রতি কয়েকটি রোগ সব বয়সি মানুষের মধ্যে দেখা যায়।তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। সারা বিশ্বে আনুমানিক ৬৪২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবিটিস মেলিটাসে আক্রান্ত।বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন সংখ্যাটা আগামীদিনে বাড়তে পারে। ২০৪০ এর মধ্যে ৭০০ মিলিয়ন হওয়া অসম্ভব নয়। ডায়াবিটিসের সমস্যা শরীরে থাকলে বেশকিছু মারাত্মক রোগ হতে পারে।হার্ডের পাশাপাশি রক্তচাপ সেই সাথে মহিলাদের কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম যোনির সংক্রমণ।বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ চিকিৎসকরা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখেছেন ডায়াবিটিস আছে এমন মহিলাদের যোনিতে ইস্টের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
যোনিতে ইস্টের সংক্রমণ আসলে কি?
ইস্ট সাধারণত উষ্ণ ও সিক্ত এলাকা বেছে নেয় তার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য। যোনির বৈশিষ্ট্যের কারনে মহিলাদের মধ্যে এই রোগ প্রায় দেখা যায় বোঝার উপায় -সমস্যায় আক্রান্ত জায়গায় চুলকানি হতে পারে।কখনও কখনও ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে কিছু টা লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে।প্রস্রাবের সময় ইস্টের সংক্রমণ থেকে প্রচন্ড জ্বালা হবে।সেই সাথে যৌন মিলনের সময় অত্যাধিক ব্যথা হতে থাকে।এক সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। মনে রাখতে হবে ইস্টের প্রধান খাদ্য হল শর্করা। সুতরাং যাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ বেশি তাদের প্রায় এসমস্যা বেশি দেখা দেয়।যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।কীভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যেতে পারে?
নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা লক্ষ রাখতে হবে। স্বাভাবিকের মাত্রার থেকে বেশি শর্করা রক্তে থাকলেই বিপদ বাড়তে পারে।
ডায়েট নিয়ন্ত্রণে থাকলেই ডায়াবিটিস আয়ত্তে রাখা যায়। এর জন্য রোজকার খাবারে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দেওয়া জরুরি। এর পাশাপাশি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দই খাবারের তালিকায় রাখুন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখা সম্ভব।
নিয়মিত জল খাওয়া এই রোগ প্রতিরোধের আরেকটি উপায়।
ব্যায়াম নিয়মিত করলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তের শর্করা মাত্রা। তাই চিকিৎসক এমন সংক্রমণ আটকাতে ডায়াবিটিস আয়ত্তে রাখার কথা বলে থাকেন।
পোশাকের সমস্যা থেকেও যোনির অস্বস্তি বাড়তে পারে। তাই তন্তু বা কটনের অন্তর্বাস পরাই ভালো। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
ডায়াবিটিস থাকলে মাসিকের সময় পরিচ্ছন্নতার দিকেে খেয়াল রাখা উচিত। এই সময় নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্যানিটারি প্যাড বদলানো জরুরি। নয়তো সংক্রমণ বাড়তে পারে